দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : আদিবাসীদের আর্থসামাজিক ও শিক্ষাগত দাবীতে রাইপুর ব্লকের প্রশাসনের কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্মারকলিপি দেওয়া হল আদিবাসী একতা মঞ্চের পক্ষ থেকে। বাঁকুড়ার রাইপুর কৃষ্ণমোহিনী এস এস বিদ্যাপিঠ থেকে মিছিল শুরু হয়, এরপর রাইপুর বাজার পরিক্রমা করে রাইপুর বিডিও অফিসে জমায়েত হয়। এদিন আন্দোলন কারীরা আদিবাসীদের বিভিন্ন দাবী দওয়ার স্বপক্ষ্যে শ্লোগান দেন। সংগঠনের পক্ষ , পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাকে সংবিধানের ৫ম তফশিল এলাকা হিসাবে ঘোষণা, আদিবাসী সমাজের মাঝি, গোডেৎ, পারানিক, মোড়ল সহ যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন তাঁদের সরকারী ভাতা প্রদান, জাতিগত শংশাপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে মাঝি বাবা,মোড়ল বাবার সুপারিশকে বৈধতা প্রদান, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সাঁওতালি মাধ্যমে শিক্ষার সুপরিকাঠামো গড়ে তোলা, অবিলম্বে সারা রাজ্যে বন্ধ থাকা আদিবাসী ছাত্রাবাস গুলি চালু সহ একাধিক দাবীতে সরব হন নেতৃত্ব। এদিন মিছিল রাইপুর বিডিও অফিসে পৌঁছানোর আগেই গেটা বন্ধ করে দেওয়া। সংগঠনের পক্ষ থেকে বারবার গেট খোলার ও আন্দোলন কারীদের জন্য পানীয় জল দেওয়ার আবেদন পরে অবশ্য সংগঠনের চাপে মূল দরজা খুলে দেওয়া হয়, তবে জল পানীয় জল চেয়েও তা তাঁরা পাননি বলে অভিযোগ। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিপ্লব সরেনের দাবী, আগে যে সকল আদিবাসী মানুষ বৃদ্ধ পেনশন পেতেন জয় জোহার প্রকল্প চালু হওয়ার পর আইনি জটিলতায় তাদের মধ্যে একটা বড় অংশের মানুষের পেনশন বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁর আরো অভিযোগ, সরকার বলছে শিক্ষা খাতে ব্যপক উন্নয়ন করছে, কিন্তু রাজ্যের অধিকাংশ আদিবাসী হোস্টেল বন্ধ, অবিলম্বে সে গুলি চালু করারও দাবী জানান তিনি। অন্যদিকে সংগঠনের আর এক সদস্য স্বপন কুমার সর্দার আবার আদিবাসীদের বিভিন্ন প্রক্লপ নিয়ে দূর্নীতি ও স্বজন পোষন এবং দলবাজীর অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবী, অনেক আদিবাসী এলাকায় রাস্তা একেবারে চলার অযোগ্য, কোথাও বা রাস্তার কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হয়ে রয়েগেছে। তাঁর অভিযোগ, সরকারী প্রকল্পে আদিবাসীদের বাড়ি নির্মান নিয়েও দলবাজী হচ্ছে। অবিলম্বে দাবী পূরন না হলে আগামী দিনে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন। আদিবাসী একতা মঞ্চের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ শাসক থেকে স্থানীয় প্রশাসন।